চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ গল্লাক কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রেদের সঙ্গে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাতজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ওই কলেজ ক্যাম্পাসে শ্রেণি পাঠদান ও পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন- শিক্ষার্থী কামরুল হাসান (১৮), শাহরিয়ার নাফিস (১৭), ফাহিম (১৯) ও মো. রিফাত মাহমুদ। এছাড়া চান্দ্রা থেকে আসা শিক্ষার্থী রাকিব, নাঈম, ফরহাদ ও সিয়াম।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হরিপদ দাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে কলেজে মিছিল সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে।
অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি ৩ মাস কলেজে আসেননি। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষ তাকে সপ্তাহখানে আগে কলেজে আসতে সহায়তা করার অভিযোগ করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এরপর থেকেই বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বিএনপির ওই পক্ষের মাঝে দ্বন্দ্বের শুরু হয়। সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ওই অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়ে মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ বিএনপির ওই পক্ষকে খবর দেন। বিষয়টি জানার পর আরও উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষের অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এক পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হেলাল মজুমদার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফয়েজ মিজির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে কলেজে এসে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করে। এতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাতজন আহত হন। তারা বর্তমানে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ হরিপদ দাস বলেন, কলেজ শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন আমাকে কলেজ পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। কিন্তু মঙ্গলবার কয়েকজন যুবক এসে আমাকে নানাভাবে প্রশ্ন করার এক পর্যায়ে হেনস্তার চেষ্টা করে। আমার মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা। পরে গেটে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ হানিফ সরকার জানান, অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা সেখানে অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
